সুভাষ: জীবনী নয় মহাজীবনী
সুভাষ ছিলেন আমার হিরো। এখন আর নয়। আসলে সুভাষকে প্রতিনিয়ত খাটো হতে দেখতে-দেখতে কবে যেন তিনি আমার চোখে নায়কের আসন থেকে সরে গেছেন। আমি কোনও মহাজীবনের ক্ষেত্রে এটা হতে দেখিনি যে, তাঁরা কত মহৎ তা বোঝানোর জন্য অন্য কাউকে খাটো করা হচ্ছে। সুভাষের ক্ষেত্রেই সেটা হতে দেখেছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে কত বড় তা বোঝানোর জন্য অন্যান্য অনেককে প্রতিনিয়িত খাটো করা হয়ে থাকে। এতে উলটে সুভাষকেই খাটো লাগতে শুরু করেছিল আমার। সুভাষ সম্পর্কে একজনের মূল্যায়নই আমার মন টেনেছিল। তিনি হলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কিন্তু আলী সাহেবের লেখাটা যখন পড়েছিলাম, তখন আমার চিন্তার রাজ্যে এতটাই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে যে, সুভাষকে ফের নায়কের আসনে বসানোটা আমার পক্ষে কষ্টকর ছিল। সুভাষ এখন আর আমার নায়ক না-হলেও তাঁকে ভুলে যাইনি। তাঁকে কি ভোলা যায় কখনও। তাই তো তাঁকে নিয়ে হিন্দিতে যে ম্যাগনাম ওপাস তৈরির প্রয়াস পাওয়া হয়েছিল, সেলুলয়েডে, তার নাম দেখেই আমি খানিক চমকে গিয়েছিলাম— বোস : দ্য ফরগটেন হিরো। এই নামটা পুরোপুরি আমরা ভাবনার উলটো। সুভাষ বসু আমার নায়কও নন, তবে তিনি আমার কাছে বিস্মৃতও নন। তবু সিনেমাটা দেখেছিলাম। কারণ পরিচালকের নামটা ছিল শ্য